মলয় সাহা
সরকারি বরিশাল কলেজ, বরিশাল শহরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম। আমি গর্বিত আমি এই কলেজের ছাত্র। ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে যখন এই কলেজে ভর্তি হই, তখন অনেক চিন্তায় ছিলাম। কেমন যাবে কলেজের দিনগুলি। কিন্তু ক্যাম্পাসের জীবনের এই শেষ সময়ে এসে বুঝতে পারলাম জীবনের সব চাইতে সোনালি সময়টা আমি এখানে কাটিয়েছি। এই কলেজের ঐতিহ্যবাহী তমাল তলার সেই আড্ডা,বন্ধুদের সাথে পিকনিক, ডিপার্টমেন্টের পিতৃ-মাতৃসমতুল্য স্যার ম্যাডামদের বন্ধুত্বসুলভ আচরন, ডিপার্টমেন্টের বড় ভাইদের ভালবাসা, ভাই সমতুল্য বন্ধু পাওয়া, ছোট ভাইদের কাছ থেকে পাওয়া সম্মান, অনেক কিছু পেয়েছি এই বরিশাল কলেজ থেকে। এই ক্যাম্পাস থেকেই আমার রাজনৈতিক জীবনের হাতেখড়ি। আমি এখানকার সোভিয়েত পরবর্তী ছাত্র ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাকালীন আহবায়ক। ভাবতেই গর্বে বুকটা ভরে ওঠে। এই ক্যাম্পাস থেকেই আমার রাজনীতির হাতেখড়ি। এই ক্যাম্পাস থেকেই আমি শিখেছিলাম কিভাবে পিচঢালা রাজপথে স্লোগান তুলতে হয়। এই ক্যাম্পাস আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। গর্ব করে বলতে চাই জীবনের সবচাইতে সোনালি সময়টা আমি এখানে কাটিয়েছি। বিনিময়ে কিছুই দিতে পারিনি। ক্ষমা করো হে তমালতলা, ক্ষমা করো হে ক্যাম্পাস। যাবার বেলায় শুধু বুক ভরা ভালবাসা ছাড়া কিছুই দেবার নাই। অকাতরে শুধু তাই বিলিয়ে গেলাম। আর যাবার সময় শুধু একটা কথাই বলতে চাই, ডিপার্টমেন্টের প্রিয় স্যার ম্যাডাম - জীবনে পিতা মাতার পরের স্থানটা আপনাদের দিয়ে গেলাম। আর প্রিয় বন্ধুরা, তোদের আমি আমার ভাইয়ের জায়গাটা দিয়ে দিলাম। আর কলিজার টুকরা ছোট ভাইয়েরা, তোদের কাছ থেকে যে সম্মান ভালবাসা পেয়ে গেলাম। সেটা আজীবন মনে থাকবে। ভাল থাকিস তোরা। আর ক্যাম্পাসের গৌরব, পবিত্রতা ধরে রাখার দায়িত্বটা তোদের দিয়ে গেলাম।
মলয় সাহা: আহ্বায়ক, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, সরকারি বরিশাল কলেজে সংসদ।

Comments
Post a Comment